মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্ধল গ্রামে হরতাল সমর্থক ও গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৩০-৩৫ জন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন: গোবিন্ধল গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩২), নাজিমুদ্দিন (২৫), নাসিরউদ্দিন (২৫) ও পাশের বলধর গ্রামের শাহ আলম।
প্রথম তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করেন সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিত্সা কর্মকর্তা (আরএমও) খলিলুর রহমান। আর নাসিরউদ্দিনের ভাই শহীদুল ইসলাম জানান, নাসিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতেই ওই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলেও দাবি করেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আলী মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ডাকে আজ সকাল সাতটার দিকে মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর সড়কে অবস্থান নেন হরতাল সমর্থকেরা। ‘ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে’—এমন অভিযোগ এনে তাঁরা গোবিন্ধল গ্রামের কিছু লোককে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে প্রলুব্ধ করেন। তখন গ্রামের কিছু লোকও মিছিলে যোগ দেন। সড়ক থেকে হরতাল সমর্থকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে হরতালের সমর্থকেরা পুলিশের ওপর চড়াও হলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে গোবিন্ধল গ্রামের কয়েকজন আহত হন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা, রামদা, টেঁটা, চাপাতি, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হরতালকারীদের সঙ্গে মিলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৩০-৩৫ জন আহত হন। পরে তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত এই তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে আরএমও খলিলুর রহমান নিশ্চিত করেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেককেই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেককে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একজন চিকিত্সাধীন।
এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জের এসপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সংঘর্ষে সিঙ্গাইর থানার ওসিসহ পুলিশের ১২ জন সদস্য আহত হয়েছেন। আর যে চারজন নিহত হয়েছেন, তাঁরা নিজেদের গুলিতেই নিহত হয়েছেন।
কাল হরতাল
সিঙ্গাইরে চারজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কাল সোমবার মানিকগঞ্জ জেলায় হরতাল ডাকা হয়েছে। আজ বিকেলে খেলাফত মজলিসের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। সিঙ্গাইরের এ ঘটনায় ইসলামি সমমনা দলগুলো ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতার ব্যানারে কাল মানিকগঞ্জে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
প্রথম তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করেন সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিত্সা কর্মকর্তা (আরএমও) খলিলুর রহমান। আর নাসিরউদ্দিনের ভাই শহীদুল ইসলাম জানান, নাসিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতেই ওই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলেও দাবি করেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আলী মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ডাকে আজ সকাল সাতটার দিকে মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর সড়কে অবস্থান নেন হরতাল সমর্থকেরা। ‘ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে’—এমন অভিযোগ এনে তাঁরা গোবিন্ধল গ্রামের কিছু লোককে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে প্রলুব্ধ করেন। তখন গ্রামের কিছু লোকও মিছিলে যোগ দেন। সড়ক থেকে হরতাল সমর্থকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে হরতালের সমর্থকেরা পুলিশের ওপর চড়াও হলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে গোবিন্ধল গ্রামের কয়েকজন আহত হন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা, রামদা, টেঁটা, চাপাতি, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হরতালকারীদের সঙ্গে মিলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৩০-৩৫ জন আহত হন। পরে তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত এই তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে আরএমও খলিলুর রহমান নিশ্চিত করেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেককেই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেককে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একজন চিকিত্সাধীন।
এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জের এসপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সংঘর্ষে সিঙ্গাইর থানার ওসিসহ পুলিশের ১২ জন সদস্য আহত হয়েছেন। আর যে চারজন নিহত হয়েছেন, তাঁরা নিজেদের গুলিতেই নিহত হয়েছেন।
কাল হরতাল
সিঙ্গাইরে চারজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কাল সোমবার মানিকগঞ্জ জেলায় হরতাল ডাকা হয়েছে। আজ বিকেলে খেলাফত মজলিসের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। সিঙ্গাইরের এ ঘটনায় ইসলামি সমমনা দলগুলো ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতার ব্যানারে কাল মানিকগঞ্জে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment